Posts Tagged ‘ভালবাসার টিপস’


ভালোবাসা দুটি মনের সমষ্ঠি। ছেলেরা সাধারণত বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এক কথায় নম্র-ভদ্র মেয়ে খুজে! বিস্তারিত নাহয় পরে একদিন খুলে বলা যাবে। আজ নাহয় জেনে নেই মেয়েরা কেমন ধরণের ছেলে পছন্দ করে। সাধারণত, আমাদের দেশে মেয়েদের মতামতের তোয়াক্কা অতটা না করলেও এখন সময় বদলেছে অনেক। তাহলে আসুন আজ জেনে নিই, মেয়েরা কি ধরণের পুরুষ পছন্দ করে,

✯ মানসিকভাবে শক্ত: মনে করুন মেয়েটার আঙ্গুল কেটে গেলো! অনেক ভালোবাসেন বুঝাতে, আপনি কেঁদে কেটে তাকে রিকশা করে নিয়ে গেলেন ডাক্তারের কাছে। এবং চিন্তায় পাগলপ্রায়।মেয়েটা যদি খুব বেশী আহ্লাদী না হয়, সে এটা পছন্দ করবে না। বেশীরভাগ মেয়েরাই পছন্দ করে না। মেয়েরা সাধারণত শক্ত মানসিকতার, মনোবল সমৃদ্ধ পুরুষ পছন্দ করে। তবে তাই বলে, আপনি যে তাকে ছুড়ে ফেলবেন তাও না। বরং নিজের জানা প্রাথমিক চিকিৎসা দিন, অবস্থা গুরুতর হলে বা ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকলে হাসপাতালে নিয়ে যান।

✯ প্রচন্ড হ্যাংলা বা শুকনা মেয়েরা খুব একটা পছন্দ করেনা। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য মেয়েদের কাছে খুব বড় একটা ব্যপার না। কিন্তু, শতকরা আটাত্তর ভাগ মেয়ে শক্ত-সামর্থ্য এবং পেশীবহুল পরুষ পছন্দ করে। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্য সেটা অতো জরুরী নয়।

✯ সুক্ষ্ণ রসবোধ থাকা মেয়েরা পছন্দ করে। তবে হ্যাংলা নয়। গম্ভীর মুখে সাধারণ কথায় যিনি অন্যদের হাসিতে লুটোপুটি খাওয়াতে সক্ষম, মেয়েরা তাদেরই পছন্দ করে। তবে তার মানে এই নয় যে, আপনি কথায় কথায় জোকস বলা শুরু করবেন। বেশীর ভাগ মেয়েই এটা তেমন একটা পছন্দ করে না।✯ গাম্ভীর্য্য বলতে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে মানুষ বোঝে মুখ গোমড়া করে থাকা। মোটেই তা নয়। মেয়েরা সাধারণত ছেলেদের গাম্ভীর্য্য পছন্দ করে যখন ছেলেটাকে তার বান্ধবীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে নিয়ে যায়।কখনোই বান্ধবীদের সাথে সুক্ষ্ণ রসবোধে মেতে উঠবেন না। হাসির কিছু হলে মুচকি হাসুন। কিন্তু কখনোই তাদের হাসানোর জন্য রসবোধে মেতে উঠবেন না।✯ মেয়েটি যখন তার পরিধেয় বা গয়না সম্পর্কে কিছু বলতে থাকবে! কখনোই থামিয়ে দেবেন না। বরং তাকে বলুন, কিসে ভালো লাগে, কিসে নয়।✯ তার কথা সবসময় মন দিয়ে শুনবেন। হয়তো আপনার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই ওতে। কিন্তু তবুও শুনে যান।এবং টুকটাক প্রশ্ন করুন! পরে বুদ্ধি খাটিয়ে মোড় ঘুরিয়ে ফেলুন।✯ মা-বাবার ব্যপারে শ্রদ্ধাশীল হোন।নিজের এবং তার পরিবারের ক্ষেত্রেও। কিন্তু মা ন্যাঁওটা হবেন না! মেয়েরা সে ধরণের ছেলে পছন্দ করেন না।

✯ তার ভুলগুলো ধরিয়ে দিন। তবে অবশ্যই পজিটিভ ভাবে।

✯ সবসময় কথা বলুন। ফোনে সে চুপ থাকলেও বলেই যান। তার পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা
করুন।তার সাথে গল্প করুন। কখনো মাঝখানে কোনো শুণ্যস্থান রাখতে দেবেন না।

✯ প্রতিটি মেয়েই কিন্তু এক একজন অভিনেত্রী। বিষয় হল এই-জরিপে দেখা গেছে, বেশকিছু বিবাহিত দম্পতির মধ্যে ৮০% স্বামী আবার বিয়ে করার সুযোগ পেলে আগের স্ত্রীকেই বিয়ে করতে চায়। অথচ একই দম্পতিদের মধ্যে স্ত্রীদের ৬০% আগের স্বামীকেই চেয়েছে। এখানে মাত্র ২০% এর গ্যাপ!!! এই ২০% রমণী অতি ভালো অভিনেত্রী!! কেননা তাদের স্বামীরা তাদের নিয়ে সুখী!!! মেয়েদের যাতে অভিনয় করতে না হয় এজন্য পুরুষরা একটা কাজ করতে পারেন, প্রতিদিন জিজ্ঞেস করতে পারেন,’কেমন আছ? কাল ভালো ঘুম হয়েছে?’ হয়ত সে বলবে,’ধুর একই কথা প্রতিদিন!’ কিন্তু আপনাদের বলছি- কথাটা শুনতে সে খুব ভালোবাসবে!! এবং তার অনেক সমস্যা হয়ত আপনাকে জানাবে।

✯ সবসময় তাদের বোঝান কতোটা স্পেশাল তারা। কিন্তু কখনোই সহজভাবে, “তুমি আমার সব! তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি!” বলে শেষ করে দেবেন না! তাদের বুঝান সেটা। অনেক টেনশনের মুহূর্তেও কখনো চুল থাকবেন না।তাদের জানান, বুঝান যে তাদের মতামত আপনার দরকার।

✯ গিফট সম্পর্কের বেশ বড় একটা ধাপ! কেমন গিফট দিতে পারেন সে সম্পর্কে আরেকদিন আলোচনা করবো! সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে!তার আগেই জানাবো। গিফটের জন্য বিশেষ দিনে প্রয়োজন নেই। হঠাৎ হঠাৎ তাকে গিফট দিয়ে চমকে দিন। পনেরো বিশ টাকা তো রোজ খরচ হয়ই। একটা দিন সিগারেট খাওয়া বন্ধ করে, ফুটপাত থেকেই নাহয় তাকে একটা পায়েল কিনে দিন! দেখুন কি খুশী হয়। আর গিফটের কারণ হিসেবে মজার কিছু বলুন। হয়তো দুজনে গল্প করছেন। তাকে একটু অপেক্ষা করতে বলে, পাশেই কোনো দোকান থেকে একটা মেহেদীর টিউব কিনে আনুন। বলুন তার হাতে মেহেদী দেখতে ইচ্ছে করছে। এরকম হঠাৎ হঠাৎ সারপ্রাইজে চমকে দিন তাকে।

মিষ্টি-মধুর দুষ্টুমিতে মেতে উঠুন

✯ চিঠি লিখুন। নানা রঙের কিছু কাগজ কিনে আনুন। তার মাঝে লিখুন। নিজেই খাম বানিয়ে ভরে দিন। হয়তো কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে বসেছেন। সেখানের টিস্যু পেপারে লিখুন, আজ তাকে সুন্দর লাগছে। বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে আসার আগে, হাতে ধরিয়ে দিন খুশী হবেন।

✯ রোমান্টিক মুভি দেখুন প্রচুর, ভালো না লাগলে মিউজিক ভিডিও, রোমান্টিক গান, গল্প পড়ুন। তবে তার সাথে সবসময় কাব্য করতে যাবেন না।

✯ যদি এখনো প্রেম না হয়ে থাকে, তাকে সবসময় বোঝানোর দরকার নেই, আপনি তার জন্য পাগল। মাঝে মাঝে চেয়ে থাকুন এক দৃষ্টিতে তার দিকে, ভালোবাসা থাকলে দৃষ্টিই যথেষ্ট খেয়াল করুন, মাঝে মাঝে সে আড়চোখে দেখে কিনা, যে আপনি তাকে দেখছেন কিনা।মেয়েরা খুব একটা হেয়ালী পছন্দ করেনা।

✯ যখন তার পাশে থাকুন,সবসময় হাসি-খুশী থাকুন, ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলুন। নিজের কোনো গোপন কথা তার সাথে বলুন। যাতে সে নিজেকে গুরত্বপূর্ণ মনে করে।

✯ পারলে নিজের বন্ধু এবং আশেপাশের মানুষদের তার সম্পর্কে ওয়াকবিহল করুন। আপনি যদি সম্পর্ক লুকিয়ে রাকাহর চেষ্টা করেন,অবিশ্বাস দানা বাঁধতে পারে যেকোনো সময়।

✯ যখনি সে বলে, সে আপনাকে আপনার চেয়ে বেশী ভালোবাসে।বিরোধতা করুন।তাকে বুঝানো আপনিই তাকে বেশী ভালোবাসেন।

✯ প্রতি সকালে ঘুম থেকে উঠার আগেই তাকে এসএমএস দিন।নতুন একটি দিনের শুভকামনা করুন।

✯ তাকে কোনো কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মনে হলে জানতে চান। যদি সে বারবার না বলতে চায়, তাকে শক্ত করে ধরুন! বলুন, তাকে আপনি ভালোবাসেন। যতোযাই হোক

গল্প করুন তার সাথে

না কেন, তাকে আপনি কখনো দু্ঃখী করবেন না।

✯ নিজের পাসওয়ার্ড বা ব্যাক্তিগত তথ্য তাকে জানান। যা তাকে বুঝতে সাহাযয় করবে, আপনি তাকে বিশ্বাস করেন।

✯ রোজ যেরকম টেক্সট মেসেজ, বা ফোনে যেমন কথা বলেন। তাকে বলুন, সেরকম কথা বলে ভয়েস রেকর্ড করে আপনাকে পাঠাতে,যাতে রোজ আপনি শোয়ার আগে শুনতে পারেন।

✯আজকেই ওয়ার্ডপ্রেস বা কোনো ব্লগস্পট বা নানান ফ্রি ওয়েবসাইট ওপেন করা যায় এমন সাইটগুলো যেমন উইবলী, ইউকরুল বা আরো নানান ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি ফ্রী ওয়েবসাইট খুলতে পারেন।

সেরকম একটি ওয়েবসাইট বানান। রোজ তাকে নিয়ে লিখতে থাকুন।প্রতিদিন দেখা হওয়ার মুহূর্ত, তার ভয়েস মেইল, ছবি সাইটে তুলুন, তার জন্মদিন, বা আ্যনিভার্সারী বা বিশেষ দিনে তাকে দেখান।

বিশ্বাসও করতে পারবেন না,সে কতোটা খুশী হবে। (খেয়াল রাখুন,যাতে সাইটটি প্রাইভেট থাকে,যদি না কারো সাথে শেয়ার করতে চান)

উপরের বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করুন। সত্যিকার ভালোভাসলে খুব একটা কঠিন হবে না। আরো বিষয়গুলো নিয়ে পরে একদিন নাহয় আলাপ করা যাবে। ততোদিন পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তে তাকে বোঝান, তাকে কতোটা ভালোবাসেন।                                                                                                              ফেসবুকে আমি

 [ ভাল লাগলে পোস্ট এ  অবশ্যই লাইক দিবেন , লাইক দিলে আমাদের কোনো লাভ অথবা আমরা কোনো টাকা পয়সা পাই না, কিন্তু উৎসাহ পাই, তাই অবশ্যই লাইক দিবেন । ]


কাওকে ভালো লাগলো, প্রপোজ করলাম! রাজী হয়ে গেল! দুম করে ভালোবাসা হয়ে গেলো। ব্যাস!! এখানেই কিন্তু শেষ নয় ভালোবাসা। বরং শুরু, প্রথম দিকটা মিষ্টি-মধুর, একটু চাহনী, চোখে চোখ পড়, দুরু দুরু বুকে কথা বলা! আর উত্তর হ্যা হলে তো, স্বর্গরাজ্যটা যেন উঁকি মেরে আসা। তার কিছুদিন পরই ভালোবাসার প্রথম শিহরণটা যখন কমতে থাকে, ভালোবাসায় তখন অভ্যস্ততা চলে আসে, অনেকেই সেটা মেনে নিতে পারেনা। তখন মনে ঢুকে নানান সন্দেহ। আর যা সম্পর্ক করে বিষাক্ত। প্রথমেই বলে রাখি। মানুষ পরিবর্তনশীল। নানা রকম চাপে মানুষের ব্যবহারে পরিবর্তন আসে। এখানের দুয়েকটি পয়েন্টের সাথে মিলে গেলেই যে তিনি আপনাকে ধোঁকা দিচ্ছে তা নয়! বরং আরো কিছুদিন দেখুন। না রেগে ঠান্ডা মাথায় সরাসরি কথা বলুন। এগুলো নানান মানুষের কাছ থেকে পাওয়া সাধারণ জরিপ। কিন্তু একেক জনের ক্ষেত্রে এটি একেক রকম। বাস্তবিক ক্ষেত্রে ভালোবাসা অনেক জটিল একটি বিষয়। তবে এটি পড়ে অন্তত নিজের দিকে একবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করুন, যে আপনার কি কি আচরণ, আপনার সঙ্গীকে সন্দেহ করবার পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে, তো আসুন জেনে নেই কিছু সাধারণ তথ্য , কিভাবে বুঝবেন আপনার ভালোবাসার মানুষটি প্রতারণা করছে কিনা?

– যখনই আপনি তাকে সন্দেহ করবেন।সে আপনাকে অনুভব করাবে যে দোষটি আপনার।অথবা এমন কিছু বলবে, যাতে আপনি নিজেই নিজেকে এর জন্য দোষী ভাবতে থাকবেন। যেমন ধরুন, আপনি তাকে দেখলেন, অন্য কারো সাথে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে। পরদিন হয়তো জানতে চাইলেন, যে সে কি করছিলো তখন, হয়তো ব্যপারটা সাধারণ। বন্ধু, বা আত্নীয় স্বজনও হতে পারে। কিন্তু উলটো আপনি তাকে সন্দেহ করছেন বলে আপনার সাথে রাগারাগি করে বুঝতে হবে হয়তো সেখানে কিছু একটা ঝামেলা আছে। সেই সময়টুকু চুপ থাকুন।পরে ধীরে-সুস্থে ব্যপারটা চেখে দেখুন।

– ফেসবুক এবং নানা সোস্যাল নেটওয়ার্কে আপনার সাথে প্রাইভেসি রক্ষা এবং সম্পর্কের কথা জানান দিতে অস্বীকার করে। এবং পাসওয়ার্ড জানাতে চায়না!

-প্রায়ই ফোনে ব্যাস্ত থাকে, এবং তার যথাযোগ্য ব্যাক্ষা দিতে ব্যার্থ্য হয়।

– নিজের বন্ধু-বান্ধবী এবং পরিচিতদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চায় না।

-ভালোবাসার সম্পর্কে একটু আকটু ঝগড়া বিবাদ থাকবেই। কিন্তু দোষ যারই হোক। সবসময় যদি আপনাকেই ক্ষমা চাইতে হয়, এবং নিজ দোষ স্বীকার করে নিতে হয়

তবে থামুন। এর কারণ হয়তো, সম্পর্ক নিয়ে তার খুব একটা মাথাব্যথা নেই। তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো,অনেকেরই ইগো থাকে, কখনোই সেটাকে প্রতারণার সাথে মেলাবেন না।

– যদি সে আপনার সাথে আগের মত কথা না বলে, নিজের সমস্যা বা কোনো ঘটনা বলতে না চাওয়া হয়তো বা আপনাকে আর ভালো না লাগার লক্ষণ হতে পারে। তবে অনেকেরই মানসিক চাপে নানান পরিস্থিতির মুখে পড়ে। কিন্তু এটি যদি হঠাৎ করে শুরু হয়ে স্থায়ী হয়ে যায়, তবে মনে করুন, তিনি আপনার সাথে দুরত্ব বজায় রাখতে চান।

– ভালোবাসার প্রকাশ বিষয়ক বোধগুলো কমে যায়। “অনেক ভালোবাসি” থেকে তারা বন্ধু শব্দটি উচ্চারণ করতে থাকে বেশী বেশী । আস্তে আস্তে দূরত্ব বাড়তে থাকে। কিন্তু তা কমানো নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা থাকে না।

– বন্ধু-বান্ধব, চাকুরী, পড়াশোনা অথবা কম্পিউটারের পেছনে সাধারণের চেয়ে একটু বেশীই সময় ব্যায় করা।
অনেক সময় চাকুরী বা পড়াশোনার চাপ বেড়ে যায়। তখন সময় একু বেশী ব্যায় করতেই পারে। কিন্তু আপনার কোনো কথার তোয়াক্কা না করে অনেকটা জোর করেই ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়া হয়তো খুব একটা সুখকর না আপনার সম্পর্কের পরিণতির জন্য।

-হঠাৎ করেই যদি আপনার ভালোবাসার মানুষটির প্রাইভেসির প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়।

-ফোনে অনেক বেশী ব্যাস্ত থাকা। এবং তা লুকাতে চাওয়া। কারণে অকারণে ফোন অফ বা ওয়েটিং কল পাওয়া। আপনার সাথে কথা বলার হার কমে যাওয়া এবং খুব বেশীই ব্যাস্ততার মাঝে থাকা।

-হঠাৎ করে উদভট সব সমস্যার অজুহাত বের করা।

– কথায় কথায় “আমার একটু সময় দরকার বা আমার নিজেকে নিয়ে আরেকটু ভাবা দরকার”, এধরণের কথা বলা।

– তুলনামূলক ভাবে ফ্লারটিং বা অন্যদের সাথে রসাত্নক আলাপে মেতে উঠা।

– কোনো বিশেষ একজনের ব্যপারে অনেক বেশী কথা বলা, বা অনেক বেশী এড়িয়ে যাওয়া এ দুটি’ই সন্দেহের উদ্রেক করতে পারে।

– মোবাইলে অনেক বেশী টাকা ঢুকানো এবং আপনার সাথে কম কম কথা বলা।

– তার বন্ধুদের আপনার প্রতি আচরণ বদলে যাওয়া ( হয়তো তারা জানে, অথবা তাদের বলা হয়েছে, কতোটা বাজে আপনি তার সাথে, যেমন আপনাকে তাদের সামনে দোষী হিসেবে তুলে ধরা)

– আপনার কাছ থেকে হঠাৎ করেই মতামত বা উপদেশ চাওয়া বন্ধ করে দেয়া।

-আপনাকে না জানিয়ে নতুন কোনো মোবাইল নাম্বার, ইমেইল আ্যড্রেস বা ফেসবুক আ্যাকাউন্ট খোলা।

– হঠাৎ করেই নিজের সৌন্দর্য্যের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেয়া।

– কল আইটেমস ডিলিট করে ফেলা।

– ভালোবাসা নিয়ে অনেক দার্শনিক ধরণের প্রশ্ন বা গল্পের উথাপন করা।

– হঠাৎ করেই চাকরীতে ওভারটাইম শুরু করা, কিন্তু বেতনের খাতায় কোনো এক্সট্রা বেতন যোগ না হওয়া।

– ভালোবাসার সম্বোধন বা ছোঁয়া, জড়িয়ে ধরা হঠাৎ করেই কমে যাওয়া।

-আপনি একটু ব্যাস্ত হতে থাকলেই সে ফোনে বা অন্য কাজে ব্যাস্ত হতে থাকে

-হঠাৎ করেই আপনার উপর অনেক বেশী মনযোগ দেয়া, যা আগে হতো না। এর কারণ অপরাধবোধ বা গিলটিনেস।

-হঠাৎ বলে বসা “তোমার কি মনে হয়, কোনো কিছু ভুল হচ্ছে?” এক্ষেত্রে ইগনোর না করে, ভালো করে শুনুন তিনি কি বলতে চান ।

-কথায় কথায় ভুল ধরা, এবং আপনার দোষ খুজে বের করা। যা আপনার সাথে ঝগড়া বা বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

-কথায় সম্পর্ক ভাঙ্গার কথা বলা। আপনাদের ছোটখাটো ঝগড়ার মাঝেও “তুমি কি আর আমাকে সহ্য করতে পারছো না?” বা “তুমি কি ব্রেকআপ চাও নাকি?” ধরণের কথা বলা।

-কথায় কথায় “আমি না থাকলে তুমি কি করবে?”, “আমাদের মাঝে যদি কখনো কিছু হয়! তুমি সবসময়ই আমার খুব ভালো বন্ধু থাকবে” ধরণের কথা বলা।

-হঠাৎ করেই খুব বেশী আত্নসচেতন এবং নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখা বা স্বাধীণতার কথা বলা।

-অনেকাংশে আপনি তার জন্য বিশেষ কিছু করলে সে দুঃখিত বোধ করে, কারণ তা তাকে মনে করিয়ে দেয়, যে সে আর আপনাকে ভালোবাসে না, বা আপনার সাথে প্রতারণা করছে।

-এক্ষেত্রে বন্ধুরা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। আপনার সামনে সে হয়তো যেরকম অভিনয় করে যাচ্ছে, বন্ধুদের সামনে নয়। এবং এসময় আপনার চেয়ে অন্য বিশেষ কাওকে নিয়েই হয়তো তার গল্প সবসময় থাকে তার মুখে, বন্ধুদের সাথে। দুজনের মিউচুয়াল কোনো বন্ধু থাকলে তার সাহায্য নিতে পারেন।তবে অনেক সাবধাণে, কারণ এতে হিতে বিপরীতের সম্ভাবনা থাকে।

এর দুয়েকটি মিল থাকতেই পারে বিচিত্র নয়। কিন্তু অনেক বেশী মিল থাকলে ভাবার বিষয়। আর অনেকেই আছি। বুঝতে পেরেও চেপে যাই। সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে। তাদের বলছি, ওনি যদি সত্যিই প্রতারণা করে থাকেন। তবে আজ হোক, কাল হোক সম্পর্ক ভাঙ্গবেই বরং আপনার অবহেলা এর পেছনে দায়ী থাকতে পারে।অতএব মনের ভিতর পুষে না রেখে খোলাখুলি কথা বলুন। মনে রাখবেন কারো উপর দোষ চাপাবেন না।তাকে শান্ত ভাবে বলুন, প্রশ্ন করুন। তিনি রেগে উঠলেও শান্ত হোন। বুঝান কেন তার এমন মনে হচ্ছে। তিনি যদি সত্যিই প্রতারণা করে থাকেন রেগে কথা বন্ধ করে দেবেন। আর নাহয় তিনি মেনে নিবেন, তবে তাকেও বলা সুযোগ দেবেন। অনেক সময় খোলাখুলি কথা বলায় সম্পর্ক ঠিকও হয়ে যায়।আর কখনোই নিজের সঙ্গীকে অবহেলা করবেন না। তা বরং তাকে দূরে যাবার পথ করে দেয়। কখনোই এক পক্ষকে দায়ী করবেন না। নিজের কোনো ভুল তাকে দূরে যেতে বাধ্য কে কিনা তাও ভেবে দেখবেন।

ফেসবুকে আমি

 [ ভাল লাগলে পোস্ট এ  অবশ্যই লাইক দিবেন , লাইক দিলে আমাদের কোনো লাভ অথবা আমরা কোনো টাকা পয়সা পাই না, কিন্তু উৎসাহ পাই, তাই অবশ্যই লাইক দিবেন । ]


প্রেম ভালবাসাকে একটু বাঁকা চোখে অনেকেই দেখেন। কিন্তু ভালবাসা মানুষের স্বাস্থের জন্য বেশ উপকারী।

১. প্রেমে পড়লে মানুষের মন এবং শরীর শান্ত হয়। আর এটা হয় এক ধরনের হরমোন নিসৃত হওয়ার কারণে। এই হরমোন মানুষের নার্ভাস সিস্টেমকে পুনর্গঠন করতে সাহায্য করে। এতে নতুন ব্রেইন সেল তৈরি হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

২. ভালো না বাসলে মানুষের মনে অধিকাংশ সময়ই ক্রোধ থাকে। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কিন্তু ভালবাসলে শরীর সেই ক্ষতি থেকে বেঁচে যায়। কারণ ভালবাসা মানুষের মনে রোমাঞ্চকর অনুভূতির সৃষ্টি করে। ফলে ইমিউন, এন্ডোক্রাইন এবং কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম উপকৃত হয়।

৩. কেউ যদি তার কাঙ্খিত মানুষটির সঙ্গে কথা বলে তাহলে তার হার্টবিট তিনগুণ বেড়ে যায়। যার ফলে সারা শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় রক্ত চলাচল করে। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।

৪. নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, যে প্রেমিক প্রেমিকারা খুব কাছাকাছি সময় কাটায় এবং পাশাপাশি বসে ভালবাসার কথা বলে তাদের শরীর থেকে অক্সিটোসিন নামক এক প্রকার লাভ হরমোন উচ্চমাত্রায় নিঃসৃত হয়। এর ফলে মেয়েদের ব্লাড প্রেসার কমে যায়।

৫. যারা ভালো না বাসে তারা একাকিত্বে ভোগে। ফলে তাদের অকাল মৃত্যুর আশংকা পাঁচগুণ বেড়ে যায়। তাই ভালবাসা দীর্ঘায়ুর জন্য অত্যন্ত জরুরি।

৬. দি ইন্সটিটিউট ফর রিসার্চ অন আনলিমিটেড লাভ- এর একটি গবেষণায় জানা যায়, যারা নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়, দুশ্চিন্তা কমে যায়, আয়ু বেড়ে যায়, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং হতাশা দূর হয়।

৭. ভালবাসলে কোলেস্টেরল কমে যায়। হিউম্যান কমিউনিকেশন-এর এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া যায়। যারা ভালবাসার কথা লেখে বা শোনে তাদের শরীরেও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে থাকে। যারা ভালবাসে না, তারা এই উপকারিতা পায় না।

৮. ভালবাসা সব রোগের মহৌষধ। ভালবাসলে এন্ডোরফিন নামক এক প্রকার হরমোন তৈরি হয়। যার ফলে শরীরের চামড়া বেশি রক্ত পায় এবং এর ফলে শরীরের চামড়া নরম ও মসৃণ থাকে। এতে সহজে চামড়া কুচকে যায় না। মুখে আভার সৃষ্টি হয়।

 [ ভাল লাগলে পোস্ট এ  অবশ্যই লাইক দিবেন , লাইক দিলে আমাদের কোনো লাভ অথবা আমরা কোনো টাকা পয়সা পাই না, কিন্তু উৎসাহ পাই, তাই অবশ্যই লাইক দিবেন । ]

ফেসবুকে আমি