Archive for মে 7, 2012


1. মোবাইল সফ্টওয়্যার এর মাধ্যমেঃ SSC ও দাখিল পরীক্ষার রেজাল্ট ছোট্র একটি সফ্টওয়্যার এর মাধ্যমে সহজেই জানতে পারবেন। ডাউনলোড করে রোল নাম্বার দিন আর বোর্ড সিলেক্ট করুন তাহলে রেজাল্ট পেয়ে যাবেন। সফ্টওয়্যারটি ডাউনলোড করুন এই লিংক গুলো থেকে- …*টাইপ> http://bit.ly/J7c3Td । *টাচ> http://bit.ly/INOG3w
2. ওয়েবসাইট এর মাধ্যমেঃ www.educationboardresults.gov.bd
www.educationboardresults.gov.bd
www.dhakaeducationboard.gov.bd →এ লিংকে গিয়ে ও রেজাল্ট দেখতে পারবেন। আজ সারাদিন এই সার্ভার এর উপর বিরাট ধকল যাবে তাই মোবাইল দিয়ে এই লিংক-এ গিয়ে রেজাল্ট দেখার আশা ছেড়ে দিন। তবে যারা UC ব্রাউজার ব্যবহার করেন তারা বারবার লিংকটিতে গিয়ে * বাটন প্রেস করে পেজ রিলোড করতে থাকুন আশা করি যেকোনো একসময় রেজাল্ট পেয়ে যাবেন।
3. SMS এর মাধ্যমেঃ Message অপশনে এ গিয়ে সাধারন বোর্ডের জন্য SSC ও মাদ্রাসা বোর্ডের জন্য Dakhil লিখে একটি Space দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখুন এবং আরেকটি Space দিয়ে রোল নাম্বার এবং আরেকটি Space দিয়ে যে বছরের পরীক্ষার্থী তার সন টাইপ করুন এবং 16222 নাম্বারে SMS করুন→ উদাহরন-SSC Dha 123456 2012 Send to 16222।

সকল পরিক্ষার্থীদের জন্য  TECHSPACEBD  এর পক্ষ থেকে শুভ কামনা রইল। বিঃ দ্রঃ অনেক শিক্ষার্থী ভাইয়ের এ তথ্যগুলো অজানা থাকতে পারে তাদের জন্য এই পোস্টটি শেয়ার করুন। …সংগৃহীত
ভাল লাগলে আমাদের TECHSPACEBD  পেজটা একটু ঢু মেরে লাইক দিয়ে যান। আসা করি আপনাদের কাজে লাগবে।


হজরত ইব্রাহিম, মুসা ও ইসা (আ.)-এর একেশ্বরবাদী ধারণাকে যিনি সামনে এগিয়ে নিয়ে আসেন তিনি সর্বকালের সেরা মানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)। সত্য সুন্দর ও কল্যাণের প্রতিচিত্র ছিলেন তিনি। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে। তবে তার জন্মের সুনির্দিষ্ট তারিখ কোনটি সে সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। ঐতিহাসিক ও হাদিস বর্ণনাকারীদের সিংহভাগের মতে, তিনি রবিউল আউয়াল মাসে জন্মগ্রহণ করেন। এ মাসের কোন তারিখে মহানবীর (সা.) জন্ম তা নিয়ে ইসলামের দুটি প্রধান সম্প্রদায় সুনি্ন ও শিয়াদের মত ভিন্নতা লক্ষণীয়। সুনি্ন মতাবলম্বীদের সিংহভাগ ১২ রবিউল আউয়াল সোমবারকে মহানবীর জন্মদিন বলে ভাবেন। অন্যদিকে সিংহভাগ শিয়া ইতিহাসবিদ ও জীবনীকারের মতে, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ১৭ রবিউল আউয়াল শুক্রবার। শিয়া জীবনীকারদের মধ্যে একমাত্র আল কুলাইনী মনে করেন, ১২ রবিউল আউয়ালেই মহানবী (সা.)-এর জন্ম। মহানবী (সা.)-এর জন্মদিন সম্পর্কে মতভিন্নতার কারণ হলো তিনি যে সময় জন্ম নেন সে সময় আরবদের মধ্যে দিন ও পঞ্জিকা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা ছিল না। মহানবী (সা.)-এর জীবনীকার তের শতকের ইতিহাসবিদ আল-ইরবিলি এ ধারণাই দিয়েছেন। স্মর্তব্য, শুধু মহানবী (সা.) নয়, খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক হজরত ইশা (আ.) বা যিশুখ্রিস্টের জন্ম তারিখ নিয়েও রয়েছে একই ধরনের বিভ্রান্তি। ২৫ ডিসেম্বরকে যিশুর জন্মদিন হিসেবে পালন করা হলেও এর পক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য দলিল নেই। মহানবী (সা.)-এর জন্মদিন মুসলমানদের দুটি প্রধান ধর্মীয় সম্প্রদায় সাধারণভাবে দুটি ভিন্ন তারিখে পালন করে। ইরানের শিয়া মতাবলম্বী ইসলামী সরকার এ মতভেদকে পাশ কাটিয়ে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তকের জন্মদিন পালন করে সপ্তাহজুড়ে। ১২ থেকে ১৭ রবিউল আউয়াল পর্যন্ত সপ্তাহকে তারা ঐক্য সপ্তাহ হিসাবেও ঘোষণা করেছে। মহানবী (সা.) ঠিক কবে জন্মগ্রহণ করেছেন সে সম্পর্কে তথ্য-উপাত্তের অভাবে মতভিন্নতা থাকলেও তিনি যে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের প্রতীক হিসেবে বিশ্বে আবির্ভূত হয়েছিলেন সে সম্পর্কে কোনো সংশয় নেই। মানুষকে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করতে আল্লাহ তাকে বেছে নেন। তার ওপর নাজেল হয় ঐশীগ্রন্থ কোরআন। একেশ্বরবাদী ধর্মীয় চেতনার প্রবর্তক হজরত ইব্রাহিম, মুসা ও ইশা (আ.) এর যথার্থ উত্তরসূরী ছিলেন মহানবী (সা.)। ইহুদী, খ্রিস্টানসহ বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মমত একেশ্বরবাদী চেতনার ভিত্তিতে গড়ে উঠলেও ইসলামকে এ ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও নিখাদ মতবাদ হিসেবে ধরা যায়। বিশ্বনন্দিত রুশ ঔপন্যাসিক লেভ টলস্টয়ের মতে, ‘কয়েক খোদার উপাসনা একই সময়ে সম্ভব নয়। এটি একত্ববাদী ধর্মীয় চেতনারও পরিপন্থি। এদিক থেকে ইসলাম খ্রিস্টীয় মতবাদ থেকেও শ্রেষ্ঠ।’ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে মহানবী (সা.)-এর আবির্ভাব ঘটেছিল মানবজাতিকে সত্যের পথে এগিয়ে নিতে। পরধর্ম সহিষ্ণুতার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কুরাইশদের শত্রুতা এড়াতে আল্লাহর নির্দেশে জন্মভূমি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। তিনি সেখানে সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে এক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তোলেন। ইহুদিরা মহানবীর (সা.) সঙ্গে সহাবস্থানের চুক্তিতেও আবদ্ধ হয়। কিন্তু তারা তাদের বিশ্বাসঘাতকতার অভ্যাস ভুলতে পারেনি। সে সময়কার কথা। ইহুদিরা ফন্দি আঁটছিল কিভাবে ইসলামের উপর আঘাত হানা যায়। একদিন সন্ধ্যায় মহানবী (সা.) সাহাবাদের নিয়ে মসজিদে বসে আছেন। এমন সময় একদল ইহুদি এসে বললো, হে মুসলমানদের নবী, আমরা মদিনার অধিবাসী নই। বহু দূরের বাসিন্দা। নানা কারণে আজ আমরা সন্ধ্যার আগে মদিনা ছেড়ে চলে যেতে পারিনি। আমাদের এতগুলো লোকের রাত কাটানোর পরিচিত কোনো জায়গাও নেই। আপনি কি এই মসজিদে এক রাতের জন্য আমাদের আশ্রয় দেবেন? খুব সকালে আমরা ঘুম থেকে উঠেই নিজেদের এলাকার দিকে যাত্রা করবো। মহানবী (সা.) বললেন, তোমরা সারাদিন ঘোরাঘুরি করে এখন খুবই ক্লান্ত। আজকের রাতটা এ মসজিদেই আমাদের মেহমান হিসাবে অবস্থান কর। আমার এবং সাহাবাদের খেজুরের ভাগও পাবে তোমরা। এ মসজিদেই তোমাদের রাত কাটাবার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। রাতে এশার নামাজ শেষে মহানবী (সা.) এবং সাহাবারা মসজিদ থেকে চলে যাওয়ার আগে ইহুদিদের সেখানে থাকার সু-ব্যবস্থা করে গেলেন। কিন্তু ইহুদীদের মনে ছিল দুষ্টবুদ্ধি। তারা আশ্রয় লাভের জন্য নয়, এসেছিল মসজিদটির ক্ষতিসাধন করতে। শেষ রাতে মসজিদ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগে তার ভেতরে তারা মলমূত্র ত্যাগ করল এবং নানা ক্ষতি করল। ভোরের আগে ফজরের নামাজের জন্য মসজিদে এসে মহানবী (সা.) এবং সাহাবারা দেখেন ইহুদিরা নেই। মসজিদটি মলমূত্রে ভরা। তা দেখে সাহবারা ক্রোধে জ্বলে উঠলেন। তারা ইহুদিদের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বলে উঠলেন, আমরা এখনই তাদের ধাওয়া করবো এবং তাদের শির ধুলায় লুটাবো।

সাহাবারা এ জন্য ছুটে যাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাদের নিবৃত্ত করলেন। নির্দেশ দিলেন, না তোমরা কোথাও যাবে না। এ মসজিদ তোমাদের কাছে পবিত্র, ইহুদিদের কাছে নয়। সেই কারণেই তারা মসজিদকে এভাবে নোংরা করতে পেরেছে। তাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়া ঠিক হবে না। আল্লাহর ঘরের সম্মান ও পবিত্রতা আল্লাহই রক্ষা করবেন। তোমাদের উত্তেজিত হওয়া ঠিক হবে না। আজ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ যখন ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার শিকার, তখন মহানবী (সা.)-এর এ সহিষ্ণুতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আছে। প্রতিহিংসা পরায়নতা নয় সহনশীলতা হলো মানব ধর্মের সত্যিকারের সৌন্দর্য। মহানবী (সা.) ছিলেন সে সৌন্দর্যেরই আঁধার।

লেখক : সুমন পালিত; সাংবাদিক ও কলামিস্ট


আজ আমরা কম্পিউটারের কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করব। এই টিপসগুলো জানা থাকলে কম্পিউটার ব্যবহার অত্যন্ত সহজ ও কার্যকরী হয়, সময়ের অপচয় কমে। এই টিপসগুলো মনে রাখলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যারও সহজে সমাধান করা যায়।

কম্পিউটারের ফাংশন কীঃ

কীবোর্ডের উপরের দিকে ১২টি ফাংশান কী থাকে F1, F2,……………………….F12। এই কী গুলির প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে। প্রত্যেকটির আলাদা কাজ নিচে বর্ণনা দেয়া হলঃ

F1 সহায়তাকারী কী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। F1 চাপলে প্রতিটি প্রোগ্রামের ‘হেল্প’ চলে আসে।
F2: সাধারণত কোনো ফাইল বা ফোল্ডারের নাম বদলের (Rename) জন্য ব্যবহৃত হয়। Ctrl+Alt+F2 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের নতুন ফাইল খোলা হয়। Ctrl+F2 চেপে ওয়ার্ডে প্রিন্ট প্রিভিউ দেখা যায়।
F3 এটি চাপলে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অনেক প্রোগ্রামের সার্চ সুবিধা চালু হয়। Shift+F3 চেপে ওয়ার্ডের লেখা বড় হাতের থেকে ছোট হাতের বা প্রত্যেক শব্দের প্রথম অক্ষর বড় হাতের বর্ণ দিয়ে শুরু ইত্যাদি কাজ করা হয়।
F4 ওয়ার্ডের last action performed আবার (repeat) করা যায় এই কী চেপে। Atl+F4 চেপে সক্রিয় কোনো প্রোগ্রাম বন্ধ করা হয়। Ctrl+F4 চেপে সক্রিয় সব উইন্ডো বন্ধ করা হয়।
F5 মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, ইন্টারনেট ব্রাউজার ইত্যাদি Refresh করা হয়।
F6 এটা দিয়ে মাউস কারসারকে ওয়েব ব্রাউজারের ঠিকানা লেখার জায়গায় (Address Bar) নিয়ে যাওয়া হয়।
F7 ওয়ার্ডে লেখার বানান ও ব্যকরণ ঠিক করা হয় এই কী চেপে। ফায়ারফক্সে Caret Browsing চালু করা যায়। Shift+F7 চেপে ওয়ার্ডে কোনো সিলেক্ট করা শব্দের প্রতিশব্দ, বিপরীত শব্দ, শব্দের Parts of Speech ইত্যাদি জানা যায়।
F8 অপারেটিং সিস্টের চালু হওয়ার সময় কাজে লাগে এই কী। সাধারনত উইন্ডোজ Safe Mode-এ চালাতে এটি চাপতে হয়।
F9  ‘কোয়ার্ক এক্সপ্রেস’ নামক সফটয়্যারের মেজারমেন্ট টুলবার খোলা যায়।
F10 ওয়েব ব্রাউজার বা কোনো খোলা উইন্ডোর মেনুবার নির্বাচন করা হয় এই কী চেপে। Shift+F10 চেপে কোনো নির্বাচিত লেখা বা সংযুক্তি, লিঙ্ক বা ছবির ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করার কাজ করা হয়।
F11 ওয়েব ব্রাউজার Full Screen অর্থাৎ পর্দাজুড়ে দেখা যায়।
F12 ওয়ার্ডের Save As উইন্ডো খোলা হয় এই কী চেপে। Shift+F12 চেপে ওয়ার্ডের ফাইল সেভ করা যায়। Ctrl+Shift+F12 চেপে ওয়ার্ড ফাইল প্রিন্ট করা হয়।

প্রাচীন রোমে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল রোমান দেব-দেবীর রানী জুনোর সম্মানে ছুটির দিন। জুনোকে নারী ও প্রেমের দেবী বলে লোকে বিশ্বাস করত। কোনো কোনো মুনির মতে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হওয়ার কারণ এটিই। আবার কেউ বলেন, রোমের সম্রাট ক্লডিয়াস ২০০ খ্রিস্টাব্দে দেশে বিয়েপ্রথা নিষিদ্ধ করেন। তিনি ঘোষণা দেন, আজ থেকে কোনো যুবক বিয়ে করতে পারবে না। যুবকদের জন্য শুধুই যুদ্ধ। তার মতে, যুবকরা যদি বিয়ে করে তবে যুদ্ধ করবে কারা? সম্রাট ক্লডিয়াসের এ অন্যায় ঘোষণার প্রতিবাদ করলেন এক যুবক। নাম _ভ্যালেন্টাইন। অসীম সাহসী এ যুবকের প্রতিবাদে খেপে উঠলেন সম্রাট। রাজদ্রোহের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো তাকে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা মাথা কেটে ফেলা হলো তার। ভালোবাসার জন্য ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগকে স্মরণ করতে তখন থেকেই পালিত হয় এ দিনটি। তবে এটিও সর্বজন স্বীকৃত নয়। এখানেও দ্বিমত আছে। কারও কারও মতে, প্রাচীন রোমে ভ্যালেন্টাইন নামে একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি রোগীদের প্রতি ছিলেন ভীষণ সদয়। অসুস্থ মানুষের ওষুধ খেতে কষ্ট হয় বলে তিনি তেঁতো ওষুধ ওয়াইন, দুধ বা মধুতে মিশিয়ে খেতে দিতেন। সেই ডাক্তার খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। প্রাচীন রোমে খ্রিস্টধর্ম তখন মোটেও জনপ্রিয় ছিল না। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের শাস্তি দেওয়া হতো। একদিন রোমের এক কারাপ্রধান তার অন্ধ মেয়েকে ভ্যালেন্টাইনের কাছে নিয়ে এলেন চিকিৎসার জন্য। ভ্যালেন্টাইন কথা দিলেন তিনি তার সাধ্যমতো চিকিৎসা করবেন। চিকিৎসা চলছিল। হঠাৎ একদিন রোমান সৈন্যরা ভ্যালেন্টাইনকে বেঁধে নিয়ে গেল। ভ্যালেন্টাইন বুঝতে পেরেছিলেন, খ্রিস্টান হওয়ার অপরাধে তাকে মেরে ফেলা হবে। ২৬৯ (কারও মতে ২৭০) খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রোম সম্রাট ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তার আগে ভ্যালেন্টাইন অন্ধ মেয়েটিকে বিদায় জানিয়ে একটি চিরকুট লিখেছিলেন। কারাপ্রধান চিরকুটটি দিলেন মেয়েকে। তাতে লেখা ছিল, ‘ইতি তোমার ভ্যালেন্টাইন।’ মেয়েটি চিরকুটের ভেতরে বসন্তের হলুদ ত্রৌকস ফুলের আশ্চর্য সুন্দর রং দেখলো। তার অন্ধ দু’চোখে তখন ঝলমলে আলো। ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ জেলাসিয়ুস ফেব্রুয়ারি ১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইন্স ডে ঘোষণা করেন। সেই থেকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন করছে মানুষ। আরেকটি সম্পূর্ণ ভিন্নমত আছে। এই মতের লোকেরা বলেন, ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে প্রিয়জনকে ভালোবাসার বার্তা পাঠানোর আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই। প্রাচীনকালে মানুষের বিশ্বাস ছিল, ১৪ ফেব্রুয়ারি হলো পাখিদের বিয়ের দিন। পাখিরা বছরের দ্বিতীয় মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডিম পাড়তে বসে। আবার কেউ বলেন, মধ্যযুগের শেষদিকে মানুষ বিশ্বাস করত এদিন থেকে পাখিদের মিলন ঋতু শুরু হয়। পাখিরা সঙ্গী খুঁজে বেড়ায়। পাখিদের দেখাদেখি মানুষও তাই সঙ্গী নির্বাচন করে এ দিনে। কারণ যাই হোক, ভালোবাসা প্রকাশের জন্য এ দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভবত ১৪০০ শতক থেকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপন শুরু হয় মহাসমারোহে।


পৃথিবীটাই তো একটা গোলক ধাঁধার কারখানা। আর এই কারখানার শ্রমিক আমরা সবাই। এই কারখানায় যা যা ঘটে বা হয় তা দেখাই আমাদের একমাত্র কাজ। তবে এর মাঝে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা এই কারখানা পরিচালনা করে। এই কারখানা পরিচালনার দায়িত্ব পৃথিবীর সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেরও কম নয়। আর তাই আবারও বাংলাদেশে উদ্ঘাটন হলো আজব এক ঘটনার। সেই ঘটনাটি ঘটালো বগুড়ার শেরপুরের এক কৃষক। তিনি গরু-মহিষ নয়, কিংবা ঘোড়া নয়, একেবারে প্রভুভক্ত হিসেবে পরিচিত গৃহপালিত পশু কুকুর দিয়ে তৈরি করলেন একটি গাড়ি। আর তার নাম দিলেন কুকুরের গাড়ি। আমরা এবার সেই মানুষটির গল্প শুনব।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কৃষক খোকন মণ্ডল ঘোড়া বা গরুর পরিবর্তে কুকুর দিয়ে গাড়ি টেনে এলাকায় হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। সেই গাড়িতে চেপে রীতিমতো এ গ্রাম থেকে সে গ্রামে ঘুরে বেড়ানো, হাটবাজারে যাতায়াত, এমনকি মালামাল বহনেও ব্যবহার করা হচ্ছে কুকুরটিকে।

কাঁচা-পাকা পথ পাড়ি দিয়ে কুকুরটানা গাড়িতে করে যখন খোকন মণ্ডল হাট-বাজারে মালামাল নিয়ে যান, তখন রাস্তার পাশে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। ঘোড়ার মতোই কুকুরের গলায় ঘণ্টা, মুখে লাগাম দেওয়া। লাগাম টেনে ধরলেই থেমে যায়। শুধু রাস্তাতেই নয়, বিষয়টি দেখার জন্য প্রতিদিনই শত শত মানুষ ছুটে যায় তার বাড়িতে।

শেরপুর উপজেলার মধ্যপাড়ার বাসিন্দা খোকন মণ্ডল কৃষিকাজ করে জীবিকানির্বাহ করেন। বর্তমানে তার বাহন কুকুরটির বয়স ১০ মাস। কুকুরটি জন্ম নেওয়ার পরপরই মা কুকুরটি বাচ্চাকে ফেলে নিরুদ্দেশ হয়। পরে নিজ বাড়িতে রেখে প্রতিপালন করেন কুকুর ছানাটি। নাম রাখেন ফটিক। কুকুর ছানার বয়স যখন দুই মাস তখন তার মাথায় ঢোকে বুদ্ধিটি। খোকন মণ্ডল জানান, ‘এক বর্ষা মৌসুমে কুকুরকে দিয়ে মালামাল পরিবহনের চিন্তা মাথায় আসে। তখন বাজারে গিয়ে তিনটি বিয়ারিং কিনে একটি ঠেলাগাড়ির মতো গাড়ি তৈরি এবং তা কুকুরের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে মালামাল বাজারে আনা-নেওয়া শুরু করি।’ তারপর রিকশাভ্যানের দুটি চাকা দিয়ে ঘোড়ার গাড়ির আদলে একটি গাড়ি তৈরি করেন যেন সেই গাড়িতে চড়া যায় এবং মালামালও নেওয়া যায়। সেটি কুকুরের পিঠের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে তার ওপরে ওঠার পর টেনে নিয়ে যেতে শুরু করে ফটিক। এখন এই গাড়িতে করে এক দেড় মণ মালামাল নিয়ে যেতেও কোনো সমস্যা নেই।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে তার এই কুকুরের গাড়ির বিষয়ে জানতে পেরে কয়েকটি সার্কাসের লোক তার কাছে এসেছিল। তারা প্রতিদিন এক হাজার টাকা দিয়ে কুকুর ভাড়া নিতে চায় কিন্তু তাতে তিনি রাজি হননি। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো শখের বসে করা। ব্যবসার জন্য নয়। সেই শখকে তো আর বিক্রি করে দেওয়া যায় না। তাই রাজি হইনি। তিনি জানান, চেষ্টা করলে যে কোনো প্রাণীকে দিয়ে অনেক কিছুই করানো সম্ভব।

 


গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা জানার আগ্রহ গর্ভবতী মাসহ পরিবারের প্রায় সবার। আমাদের দেশে অনেক সময় মা-খালা বা দাদি-নানিরা গর্ভবতী মায়ের কিছু লক্ষণ দেখে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা বলার চেষ্টা করেন। গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা জানার জন্য আজকাল বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে আলট্রাসনোগ্রাফি একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিটি খুবই সহজ এবং এর কোনো ক্ষতিকর দিক নেই। আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে এসে চিকিৎসকের কাছে প্রায় সব নারী বা দম্পতিরই প্রথম কথা, ‘সন্তানটি ছেলে হবে না মেয়ে হবে, বলবেন কিন্তু।’
আলট্রাসনোগ্রাফি করে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা দেখা যায়। গর্ভাবস্থার ২০-২২ সপ্তাহ থেকেই তা প্রায় সঠিকভাবে বলে দেওয়া যায়। প্রায় বললাম এ কারণে যে, সব ক্ষেত্রেই সব সময় দেখা সম্ভব হয় না। আর দেখা গেলেও এ সময় প্রায় ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিক না-ও হতে পারে। ২৮ অথবা ৩০ সপ্তাহের দিকে প্রায় শতভাগ নিশ্চিত করেই বলা যায়। তবে আজকালকার অত্যাধুনিক মেশিনে ২০ সপ্তাহের আগেও গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা চেনা যায়। ত্রিমাত্রিক আলট্রাসনোগ্রাফি (থ্রিডি আলট্রাসনোগ্রাফি) দ্বারা ১৭ সপ্তাহের সময়ই ছেলে বা মেয়ে বলা সম্ভব প্রায় ৯০ শতাংশ সঠিকভাবে। আর ২০ সপ্তাহের সময় বলা যায় প্রায় ৯৫ শতাংশ সঠিকভাবে।
গর্ভের সন্তানের ছেলে অঙ্গ বা মেয়ে অঙ্গ দেখা যাওয়াটা অবশ্য অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে:
ক. মেশিনের ওপর: ভালো মেশিনে ভালো দেখা যাবে। অনেক সময় দুই ঊরুর মাঝখানে পেঁচানো নাড়ি সাধারণ মেশিনে ছেলের অঙ্গের মতো দেখায়। ডপলার মেশিনে এই পার্থক্যটা নিশ্চিতভাবে বোঝা যাবে। কারণ, নাড়িতে রক্তপ্রবাহ দেখা যাবে ডপলারের মাধ্যমে।
খ. গর্ভবতী নারীর পেটের চর্বির ওপর: নারী বেশি মোটা হলে বা পেটে বেশি চর্বি থাকলে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা দেখা কঠিন হয়।
গ. জরায়ুর ভেতর পানির পরিমাণের ওপর: জরায়ুর ভেতর পানি কম থাকলে ছেলে বা মেয়ে অঙ্গ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
ঘ. গর্ভের সন্তানের পজিশনের ওপর: গর্ভের সন্তান যদি তার ঊরু দুটি ফাঁক করে না রাখে বা দুই ঊরুর ফাঁকে নাড়ির পেঁচ থাকে বা সন্তান উল্টো হয়ে থাকে, তবে ছেলে বা মেয়ের অঙ্গটি দেখা না-ও যেতে পারে।
ঙ. গর্ভকালীন সময়ের ওপর: সাধারণ মেশিনে ২০ সপ্তাহের দিকে ছেলে বা মেয়ের অঙ্গের মধ্যে তফাতটা খুবই সামান্য। তাই অন্তত ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার শেষের দিকে অর্থাৎ ৩৬ অথবা ৩৭ সপ্তাহের দিকে জরায়ুর ভেতর ফাঁকা জায়গা কম থাকার কারণে দেখা না-ও যেতে পারে। ২৬ থেকে ৩০ সপ্তাহের মধ্যেই বেশি ভালো দেখা যায়।
তবে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা দেখাটা কিন্তু আলট্রাসনোগ্রাফি করার মূল উদ্দেশ্য নয়। গর্ভে বাচ্চার সংখ্যা কত, বাচ্চার হূৎস্পন্দন সঠিক আছে কি না, গর্ভে বাচ্চার বয়স কত, গর্ভের সন্তান ঠিকমতো বাড়ছে কি না, বাচ্চার কোনো শারীরিক ত্রুটি আছে কি না, জরায়ুর ভেতর পানির পরিমাণ ঠিক আছে কি না, জরায়ুর ভেতর ফুলের অবস্থান কোথায় ইত্যাদি দেখার জন্যই মূলত আলট্রাসনোগ্রাফি করতে দেওয়া হয়।